বগুড়ায় কৃষি কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন
আল আমিন মন্ডল, বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার গাবতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আ জা মু আহসান শহীদ সরকারের বিরুদ্ধে উপজেলায় রাজস্বখাতে প্রদশর্নীভুক্ত সরকারি বরাদ্দকৃত সার চুরির প্রতিবাদে ভূক্তভোগী কৃষকরা মানববন্ধন ও কর্মবিরতী কর্মসূচী পালন করে।
বুধবার বগুড়া শহরের সাতমাথায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গাবতলী উপজেলা ভুক্তভোগী কৃষি সমাজের আয়োজনে কৃষি কর্মকর্তা আহসান শহীদ সরকারের বিরুদ্ধে সার চুরির বিচার ও অপসারণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর সুদৃষ্টিসহ হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
মানববন্ধনে কৃষি কর্মকর্তা আহসান শহীদের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও কৃষকদের মাঝে ক্ষতিপুরণসহ পুনঃরায় সার বিতরণ করার জন্য জোর দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।
দুইশতাধিক কৃষক মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, গাবতলী কৃষি কর্মকর্তা আহসান শহীদ সরকার কৃষকদের মাঝে সার বিতরনে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ফলে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দাখিল করতে গড়িমশি করা হচ্ছে বলে কৃষকরা অভিযোগ করেন।
এছাড়াও কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সার চুরির বিষয়টি তদন্ত করতে গত ২৬শে ফেব্রুয়ারী বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রতুল চন্দ্র সরকারের নির্দেশে জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তাকে প্রধান করে ও বগুড়ার অতিরিক্ত পরিচালক ও সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম পাটোয়ারীকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এরপর সার বিতরনে অনিয়মের বিষয়ে গত ২০শে র্মাচ গাবতলী কৃষি প্রশিক্ষণ কক্ষে ৪০জন চাষির উপস্থিতিতে গোপণীয় ও প্রকাশ্য তদন্ত করা হয়। গঠিত তদন্ত কমিটি সামনে প্রকাশ্যে বেশির ভাগ চাষি সার কম পেয়েছি বলে অভিযোগ করে পুনরায় সারসহ ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। অনেক কৃষক তদন্ত কমিটিকে কৃষি কার্ডে লেখা মোতাবেক সার না দিয়ে স্লিপের মাধ্যমে সার দেওয়া হয়েছে বলে তাদের বক্তব্যে বলেন।
চাষিরা কমিটিকে আরো জানান, আমাদের কার্ডে লেখাছিল ১২৯.৫ কেজি কিন্তু আমাদেরকে সার দেওয়া হয়েছে ৩৭ কেজি। ১৫০ কেজি স্থলে সার দেওয়া হয়েছে ৯৫ কেজি। ৮০ কেজির স্থলে কৃষক সার পেয়েছে ৪৭ কেজি। আবার কিছু সংখ্যক চাষীকে তাদের কথা বলতে না দিয়ে ধমক দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সামনে চাষিরা যে অভিযোগ করেছেন তা প্রতিবেদনে সঠিকভাবে লেখা হয়নি বলেও কৃষকরা অভিযোগ করেন। এমনকি তদন্ত কমিটি কার্যক্রম চলাকালে অভিযুক্ত কৃষি কর্মকর্তার সামনে কৃষকদের প্রশ্ন করা হলে চাষিরা বক্তব্যদানে বিভ্রান্তের মধ্য পড়ে যায়।
তদন্তের সময় এক মাস অতিবাহিত হলেও সংশ্লিষ্ট কৃষি অধিদপ্তর বরাবরে আজও জমা দেওয়া হয়নি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন (রিপোর্ট)।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাই